Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঈদের ছুটির ৯ দিনের ৪ দিনই খেল বিমান

flightমুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আগেভাগেই ছুটি নিয়ে ফেরেন বাড়ি। তেমনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিদেরও অনেকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেশে ফেরেন।

ঈদ উপলক্ষে সৌদি আরবে স্বাভাবিকভাবে সপ্তাহখানেকেরে ছুটি মেলে। তবে অনেকে এ সময় ছুটি কিছুদিন বাড়িয়ে নেন, দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন বলে। এবারও সৌদি প্রবাসী হাজারো বাংলাদেশি ঈদুল আজহা সামনে রেখে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এজন্য উড়োজাহাজের টিকিটও কেটে রেখেছেন অনেকে।

chardike-ad

তবে যারা দেশে ফিরতে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটেছেন, তারা পড়েছেন চরম হয়রানিতে। ঈদুল আজহার আগে বাংলাদেশে বিমানের উড়োজাহাজে সৃষ্টি হয়েছে ফ্লাইট নিয়ে শিডিউল বিড়ম্বনা।

২৭ আগস্ট রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, শত শত যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু উড়োজাহাজের খোঁজ নেই। নির্দিষ্ট উড়োজাহাজ কখন আসবে, বা আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে।

অপেক্ষমাণ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি যাত্রীর সঙ্গে বলে জানা যায়, ২৫ তারিখের টিকিট নিয়েও ফ্লাইট না থাকায় ফিরতে পারেননি তারা। দুইদিন পর ২৭ তারিখ এলেও ফ্লাইট পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় বিমানের যাত্রীদের মালামাল বুকিং রেখে সবাইকে রিয়াদের এক আবাসিক হোটেলে রাখা হয়েছে। ওই হোটেলে একইভাবে অপেক্ষায় থাকা ৪০০ যাত্রী চারদিন দেরি করে গত ২৫ আগস্ট রাতের ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন। এভাবে অনেকের ছুটির দিনগুলোর একটা অংশ শেষ হয়ে যাচ্ছেন ফ্লাইট না পেয়ে।

রবিন জাহিদ নামে এক প্রবাসী জানান, কোম্পানি থেকে তিনি ঈদের ছুটি পেয়েছেন সাতদিন। তার সঙ্গে অতিরিক্ত দুইদিন ছুটি নিয়েছেন। সে অনুযায়ী উড়োজাহাজের টিকিটও কেটে রেখেছিলেন অনেক আগেই। ২৫ আগস্ট তার ফ্লাইট হওয়ার কথা থাকলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে পিছিয়েছে করা হয় ২৭ আগস্ট। কিন্তু এদিনও তাদের ফ্লাইট হয়নি।

বিরক্তি ও ক্ষোভ জানিয়ে জাহিদ বলেন, দেশে গিয়ে কী হবে? নয়দিনের ছুটির চারদিন যদি বিমান খেয়ে ফেলে, থাকল আর কী?

জাহিদের মতো এমন অনেক প্রবাসীই এবার অল্প কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে দেশে ফিরতে টিকিট করেছিলেন। কিন্তু বিমান বাংলাদেশের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে তাদের ছুটির অর্ধেক সময়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তারা।

উড়োজাহাজের এমন শিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে জানতে বিয়াদে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২৭-২৮ আগস্টের শিডিউলে সমস্যা হবে না। হজযাত্রী পরিবহনের কারণে এ সমস্যা হয়েছ।

তবে এ দাবি মানতে নারাজ প্রবাসীরা। তারা বলছেন, হজযাত্রী নিয়ে সমস্যা হলে সেটা আসার সময় হওয়ার কথা। সৌদিতে আসা ফ্লাইটগুলো যাত্রী নামিয়ে জেদ্দা থেকে তো খালি ফিরে যাচ্ছে না।

ঈদের ছুটিতে দেশে ফিরতে প্রবাসীরা বিমানের এমন হয়রানির প্রতিকার ও দুর্ভোগের সমাধান চান সরকারের কাছে।