শত ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও ব্লু হোয়েল আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। এবার ঘটনাস্থল ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলা। ব্লু হোয়েলের একদম শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছিল দশম শ্রেণির এক ছাত্র। আত্মহত্যা করার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাকে। কিন্তু বুদ্ধি করে এমন উপায় বের করে ফেলে সে, যাতে সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই ছাত্রটি তার স্কুলের সংস্কৃত পরীক্ষার উত্তরপত্রে লেখে, গত ২ মাস ধরে সে ব্লু হোয়েল খেলছে। গেমের ৪৯টি ধাপ সারা। এবার চূড়ান্ত ধাপ। তাকে আত্মহত্যার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে ক্রমাগত। সঙ্গে ভয়ও দেখানো হচ্ছে আত্মহত্যা না করলে তার বাবা-মাকে মেরে ফেলা হবে।
সংস্কৃত শিক্ষিকা হেমলতা সৃঙ্গী পরীক্ষার খাতায় লেখাটি পড়ে শিউরে উঠেন। সাথে সাথে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও জেলা প্রশাসনকে খবর দেন। পাশাপাশি ছেলেটির বাড়িতেও বিষয়টি জানানো হয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, কয়েক জন শিক্ষিকা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে একটি দল তৈরি করে ওই কিশোরের কাউন্সেলিং করা হয়েছে। তবে এখনও আতঙ্ক কাটেনি তার। সে কথা দিয়েছে, আর কখনও ব্লু হোয়েল খেলবে না।
প্রসঙ্গত, এই মারণ-গেমের জন্য ইতিমধ্যেই অনেকগুলো মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে এদেশে। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনাও আরও একটি সংযোজন হতে পারত। উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই প্রাণে বাঁচল ছাত্রটি।