Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আট বছরের ক্ষুদে ব্রুস লি

Junior brousli

রুইসে রুইজি। জাপানের হনশু দ্বীপের নারা শহরের আট বছর বয়সি এক শিশু। যে বয়সে তার আর দশটা শিশুর মতো নানা রকম খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা, সেই বয়সে এই শিশুটি মেতে রয়েছে মার্শাল আর্টের নানা রকম ভয়ংকর কৌশল রপ্ত করার নেশায়। কারণ সে স্বপ্ন দেখে, বড় হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্শাল আর্ট শিল্পী ব্রুস লির মতো হবে।

chardike-ad

শুধু স্বপ্ন দেখেই ক্ষান্ত হয়নি এই জাপানি শিশু। ব্রুস লির মতো শারীরিক অবয়ব গড়ে তোলার জন্য সে প্রতিদিন গড়ে চার ঘণ্টা করে নিজেকে কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত রেখেছে। ফলে এই শিশু বয়সেই তার শারীরিক গড়নে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

রুইসে রুইজির এই স্বপ্ন ও প্রতিভার ঝলক প্রথম দেখা যায় তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওর মাধ্যমে। ওই সময়ে ছোট এই শিশুটির হাতে নান চাকু ঘোরানোর কৌশল দেখে সবাই প্রশংসা করেছিলেন। সেই প্রশংসা এখন মুগ্ধতায় রূপ নিয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে তার ভক্তের সংখ্যা প্রায় চার লাখ।

রুইসে রুইজির এই স্বপ্ন সম্পর্কে তার বাবা বলেন, ‘মাত্র এক বছর বয়স থেকেই সে ব্রুস লির সিনেমা মুগ্ধ হয়ে দেখতো। তখন থেকেই শুরু। এরপর একটু একটু করে নিজেকে সে প্রস্তুত করছে। প্রতিদিন সকাল ছয়টায় তার প্রশিক্ষণ শুরু হয়। চার ঘণ্টা টানা প্রশিক্ষণ শেষে সে স্কুলে যায় এবং ফিরে এসে আরো ঘণ্টা দুয়েক ঘাম ঝরায়।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুইসে রুইজি ব্যাপক প্রশংসা পেলেও অনেকেই তার বাবার সমালোচনা করেছেন। এত অল্প বয়সে মার্শাল আর্টের মতো একটি ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অর্জনে রুইজিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কেউ কেউ তার বাবাকে দোষারোপ করেছেন।

মাত্র বত্রিশ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো ব্রুস লি তার চোখ ধাঁধানো মার্শাল আর্ট কৌশল দিয়ে বিশ্ব জয় করেছিলেন। এখনো বিশ্বের কোটি কোটি মার্শাল আর্ট প্রেমী তরুণ তার মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তবে জাপানি বালক রুইসে রুইজি এই স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে সবার থেকে এক ধাপ এগিয়ে।