নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নাটোর-পাবনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১২ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পর একজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ জনই লেগুনার যাত্রী। একজন বাসের যাত্রী। এছাড়াও বাসের ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, লেগুনাচালক ঠাকুরগাঁওয়ের রহিম আলী (২৮), নাটোরের বড়াইগ্রাম নারায়ণপুরের রজুফা বেগম (৫০) ও শেফালী বেগম (৪৫), জামাইদিঘার লগেনা বেগম (৬৫), পাবনা দাশুড়িয়ার মিরকামারি গ্রামের শাপলা আক্তার (২০) ও টাঙ্গাইলের গোপালপুরের রোকন সেখ (২২)।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে লালপুরের কদিমচিলান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে ১৯ জন যাত্রী আহত হন। সংবাদ পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও নাটোর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৪টার দিকে পাবনা থেকে রাজশাহীগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বনপাড়া থেকে ঈশ্বরদীগামী লেগুনার সংঘর্ষ ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছিল।
বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসূন নূও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উদ্ধার কাজ চলছে। বিস্তারিত পেতে অপেক্ষা করতে হবে।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ