Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সকালে নাস্তা অনিয়মে হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যায়!

break-fast

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র তুলকালাম ফেলে দিয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। কিন্তু কেন? কী এমন আছে সেই গবেষণায়? দিনের পর দিন ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়, সে সম্পর্কে সবারই জানা ছিল। কিন্তু এই গবেষণায় এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে যা বেজায় ভয়ঙ্কর।

chardike-ad

পরীক্ষাটি চলাকালে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দিন সকালে কিছু না খেলে হার্টের উপর মারাত্মক চাপ পরে। ফলে ধীরে ধীরে হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এমনটা হওয়ার কারণে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো চিকিৎসকেরা ব্রেকফাস্টকে দিনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মিল হিসেবে বিবেচিত করেছেন। কথায় আছে, ‘ইট ব্রেকফাস্ট লাইক এ কিং।’

ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস থাকলে যে শুধুমাত্র হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে, তা নয়। সেই সঙ্গে আরও নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন-

১. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে

দীর্ঘ ৬ বছর ধরে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করেন না, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে যে হারে ডায়াবেটিকদের সংখ্যা বেড়েছে, তাতে সাবধান হওয়ার সময় যে এসে গেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই বন্ধুরা।sentbe-ad

২. এনার্জির ঘাটতি হয়

১৪৪ জনের উপর করা ব্রিটিশ গবেষকদের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ঠিক মতো ব্রেকফাস্ট না করলে দিনের শুরুতেই শরীরে এনার্জি ঘাটতি এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে কাজ করার ইচ্ছাই থাকে না। শুধু তাই নয়, যথাযথ পুষ্টি না পাওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ারও কমতে শুরু করে। যার প্রভাবে স্মৃতিশক্তি কমে যায়।

৩. চুল পড়া বেড়ে যায়

ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস থাকলে শরীরে ক্যারেটিন নামে একটি উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে। যার প্রভাবে চুল পরা খুব বেড়ে যায়। তাই আপনি যদি না চান কম বয়সেই মাথা ফাঁকা হয়ে যাক, তাহলে নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করা শুরু করুন, দেখবেন উপকার পাবেন।

৪. হজম ক্ষমতা কমে যায়

পেট্রোল বা ডিজেল ছাড়া কি গাড়ি চলবে? না তো! তেমনি ৮-৯ ঘন্টার উপোসের পর যদি ঠিক মতো ব্রেকফাস্ট না করা হয়, তাহলে হজম ক্ষমতার উপর মারাত্মক চাপ পরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মেটাবলিজম রেট কমে যেতে শুরু করে। এমনটা হওয়া মাত্র বদ-হজম এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপও চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। তাই সাবধান হওয়াটা জরুরি!