ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই টান টান উত্তেজনা। এমন ম্যাচে লড়াই করতে হলে বড় পুঁজির প্রয়োজন হয়। কিন্তু দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের সামনে বড় স্কোরের চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারলো না পাকিস্তান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে মাত্র ২৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল। শোয়েব মালিক ৭৮ রান করে পাকিস্তানের জন্য লড়াকু পুঁজি এনে দেন।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই কিছুটা মন্থর গতিতে এগুতে থাকে পাকিস্তানের ব্যাটিং। ৮ ওভারে মাত্র ২৪ রান করে ওপেনিং জুটি। ২০ বল খেলে মাত্র ১০ রান করে এ সময় ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন ইমাম-উল হক। আগের ম্যাচে ৮০ রান করলেও এই ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন তিনি।
পাকিস্তানের উদীয় ওপেনার ফাখর জামান ৪৪ বল খেললেন। কিন্তু রান করলেন মাত্র ৩১। পাকিস্তানের নিয়মিত রান করা আরেক ব্যাটসম্যান বাবর আজম। তিনিও হলেন ব্যর্থ। সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৯ রান করে হয়ে গেলেন রান আউট।
তবে ভারতীয় বোলারদের ভুগিয়েছেন সরফরাজ আর শোয়েব মালিক জুটি। এ দু’জনের ব্যাট থেকে এসেছে ১০৭ রানের মহামূল্যবান জুটির ইনিংস। ১৬৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে আউট হন সরফরাজ আহমেদ।
এরপর আসিফ আলিকে নিয়ে আরও একটি মাঝারি মানের জুটি গড়ে তোলেন শোয়েব মালিক। কিন্তু ইনিংসের ৪৪তম ওভারের মাথায় ব্যক্তিগত ৭৮ রানে বুমরাহর বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন শোয়েব মালিক। দারুণ ফর্মে রয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারে ৪৩তম হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান শোয়েব।
শোয়েব মালিক আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের রানও থমকে যায়। ২১ বলে ৩০ রান করে আউট হন আসিফ আলি। শাদাব খান করেন করেন ১০। মোহাম্মদ নওয়াজ অপরাজিত থাকেন ১৫ রান। হাসান আলি অপরাজিত থাকেন ২ রানে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করে পাকিস্তান। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ, ইয়ুযবেন্দ্র চাহাল এবং কুলদ্বীপ যাদব।