শিক্ষক মো. আইজউদ্দিন রানা জানান, তিনি শনিবার সকালে উপজেলার গাওখালী থেকে ট্রলারে করে তার কর্মস্থল ৩২ নম্বর মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। ওই ট্রলারে ইউপি চেয়ারম্যান মো.অলিউল্লাহও ছিলেন।
শিক্ষক মো. আইজউদ্দিন রানার জানান, খালে প্রচুর কচুরীপানা থাকায় ট্রলার যেতে অনেক ধীরে যাচ্ছিল। কেন স্কুলে দেরিতে যাচ্ছি চেয়ারম্যান মো.অলিউল্লাহ তার কাছে জানতে চান। তখন তিনি খালে কচুরিপানার কারণে যেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান।
মো. আইজউদ্দিন রানা বলেন, আমি এ কথা বলার পর চেয়ারম্যান লোকজনের সামনেই আমাকে মারধর শুরু করেন। গত ইউপি নির্বাচনে আমি মো. অলিউল্লাহর পক্ষে কাজ না করায় সে আগে থেকেই আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ালিউল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক মো. আইজউদ্দিন রানা সম্পর্কে আমার ভাতিজা হয়। আমি তার কাছে জানতে চাই দেরিতে স্কুলে যাও কেন। তখন সে উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে খারাপভাবে কথা বলতে শুরু করে। এ সময় আমি তাকে একটা ধাক্কা দিয়েছি এর বেশি কিছু না। এরপর চেয়ারম্যান বলেন, ওই শিক্ষক প্রায়ই স্কুলে যায় না এমন অভিযোগ রয়েছে আমার কাছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিকদার মো.আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, এ ঘটনায় আমি এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।