Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অবশেষে ভারত থেকে সন্তানসহ দেশে ফিরলেন অসহায় সেই মা

bangladeshi-womenভারতে তিন মাসের বেশি সময়ে অবস্থান করে আইনি জটিলতায় আটকে পড়া মা ও শিশু সন্তান অবশেষে ৩৬ দিন পর কলকাতার বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনের সহযোগিতায় বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর ও দূতালয়ের প্রধান বিএম জামাল হোসেন তাদের বেনাপোল চেকপোস্টে বাংলাদেশি সার্চ মানবাধিকার সংস্থার হাতে তুলে দেন। ফেরত আসারা হলেন যশোরের ফতেপুর গ্রামের বিল্লাত আলীর স্ত্রী রোকসানা খাতুন (৩০) ও তার শিশু পুত্র শাওন (৩)।

chardike-ad

জানা যায়, দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের প্রলোভনে রোকসানা খাতুনের ভাই ভারতে গিয়ে দিল্লিতে পুলিশের হাতে আটক হন। এ খবর পেয়ে তার ভাইকে ছাড়াতে পাসপোর্টে দিল্লি যান বোন। এ সময় অসতর্কতার কারণে ভারতে তিন মাসের অধিক সময় অবস্থানে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ভুলে যান রোকসানা খাতুন। পরে দেশে ফেরার জন্য ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে এলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এক সঙ্গে ৯০ দিন অতিক্রম করার অপরাধে তার ও সন্তানের পাসপোর্টে ৪৩ হাজার ২০০ ভারতীয় রুপি (পাসপোর্ট প্রতি ২১ হাজার ৬০০ ভারতীয় রুপি) জরিমানা পরিশোধ করতে বলেন। কিন্তু তার কাছে কোনও অর্থ না থাকায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন।

বিষয়টি জানতে পেরে বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন অসহায় রোকসানা খাতুনের পাশে দাঁড়ান। উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ভারত সরকারকে দুই পাসপোর্টে ৪৩ হাজার ২০০ রুপি জরিমানা পরিশোধ করে মা ও ছেলেকে দেশে ফিরতে সহযোগিতা করেন। রোকসানা খাতুন এ মানবিক কাজের জন্য উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ভারত সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী (মুসলিম সম্প্রদায়) যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে গিয়ে একটানা ৯০ দিনের বেশি অবস্থান করবেন তাদের পাসপোর্ট প্রতি ভারত সরকারকে ২১ হাজার ৬০০ রুপি ও বাংলাদেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাসপোর্ট যাত্রীপ্রতি মাত্র ১০০ রুপি জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের যাত্রীদের আর সংখ্যালঘু যাত্রীদের জরিমানার মধ্যে এমন ব্যবধানের এই বৈষম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর ও দূতালয়ের প্রধান বিএম জামাল হোসেন জানান, এটা ভারত সরকারের পলিসি।