Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রবাসীদের বিয়ে করতে নিষেধ করা সেই ওসির ক্ষমা প্রার্থনা

sylhet-ocতোমরা বিদেশি ছেলেদের বিয়ে করবে না, কারণ তারা তোমাদের কাজের মেয়ে হিসেবে ট্রিট করে বিয়ে করে চলে যাবে, আবার আসবে তিন বছর পরে। যদি বিদেশি ছেলেদের সাথে কেউ তোমাদের বিয়ে দিতে চায় তাহলে ৯৯৯ নম্বরে কল করবা। পুলিশ আর আগের পুলিশ নাই। আমার ক্যামেরাম্যান পুলিশ উচ্চশিক্ষিত। আমার কনস্টেবল বিএ পাশ। আর লেখাপড়া করে যে তোমরা ভাল চাকরি পাবা সেই সুযোগও এখন নাই।

গতকাল বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ছাগলনাইয়া থানার হিছাছরা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাল্য বিবাহ রোধ, মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মোবাইলের অপব্যবহার নিয়ে সচেতনতামূলক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার ওসি এম এম মুর্শেদ পিপিএম এমন বক্তব্য রাখেন।

chardike-ad

এই বক্তব্যকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। বাধ্য হয়ে ওসি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বলে জানা যায়।

প্রবাসীরা ভিডিও বার্তায় বলেন, আমরা বিদেশে পড়ে আছি। বাংলাদেশের খাই না, পরি না। রাস্তাঘাটে হাঁটি না। আমরা দেশ থেকে টাকাও আনি না। কিন্তু মাস শেষে এই বিদেশ থেকে ঘাম ঝরানো টাকা বাংলাদেশে পাঠাই। আর আমাদের নিয়ে প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা এমন মন্তব্য করেছেন যা ভাবতেও পারছি না।

ওসি এমএম মুর্শেদ বলেন, ‘আসলে আমার বক্তব্যটিকে বিকৃত করা হয়েছে। আমি সেভাবে বলিনি, আর বলতেও চাইনি। আমি বলেছি অনেক প্রবাসী টাকা পয়সা নিয়ে দেশে ফেরে, অল্প বয়সী মেয়েদের পছন্দ হলে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। আমি বলেছি এমন ঘটনা ঘটলে যাতে আমাদেরকে জানানো হয়। আমি অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়েতে না করেছি।’

প্রবাসীদের প্রতিবাদের মুখে ফেসবুকে এসে তিনি একই কথা বলেন। ওসি বলেন, ‘গত ২৩ জানুয়ারি ছাগলনাইয়া থানার হিছাছরা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাল্য বিবাহ রোধ, মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মোবাইলের অপব্যবহার নিয়ে সচেতনতামূলক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় আমি অফিসার ইনচার্জ, ছাগলনাইয়া থানা বক্তব্য প্রদানকালে বাল্যবিবাহ রোধে ছাগলনাইয়া প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় স্কুল পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের অভিভাবকেরা প্রবাসী পাত্রের নিকট বিবাহ দেন। উক্ত বাল্য বিবাহের ফলে পরবর্তীতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।’

তিনি বলেন, ‘সভায় উপস্থিত অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীদের বাল্য বিবাহ সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ১৮ বছরের পূর্বে যেন প্রবাসী পাত্র পেলেও বিবাহ না বসে, এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়। আমার বক্তেব্যের মাঝখানের কিছু অংশ জনৈক ব্যক্তি ভিডিও করে ফেইসবুকে আপলোড করেন। কেহ কেহ এই বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রবাসী ভাইদের ভুল বুঝাচ্ছেন। শুধু স্কুল পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বাল্যবিবাহ নিরোৎসাহীত করার জন্য প্রসঙ্গক্রমে আমার এই বক্তব্য আসছে।’

ওসি এমএম মুর্শেদ বলেন বলেন, ‘আমি প্রবাসী ভাইদের খাটো করে কোনও বক্তব্য প্রদান করি নাই। কারণ বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই প্রবাসী আছে। এমনকি আমার পরিবারেও একাধিক প্রবাসী আছে। প্রবাসী ভাইদের অর্জিত অর্থ আমাদের দেশের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আংশিক বক্তব্য এর ভিডিও দেখে প্রবাসী ভাইয়েরা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’