Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সুন্দরবনের নদীতে ফের মিলল স্যাটেলাইট অ্যান্টেনাযুক্ত কচ্ছপ

kossopসুন্দরবনের নদীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সফরমার সংযুক্ত আরও একটি বাটাগুর বাসকা (কচ্ছপ) ধরা পড়েছে। কচ্ছপটির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর ও ওজন সোয়া ১০ কেজি। সুন্দরবনের সুতারখালী নদীতে মাছ ধরার সময় বুধবার দিনে কুলসুম নামে এক নারী জেলের জালে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো এ কচ্ছপ ধরা পড়ে। শুক্রবার সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের কাছে এটিকে হস্তান্তর করা হয়।

গত সোমবার দুপুরে মোংলার মিঠাখালীর পুটিমারী খালে এক জেলের জালে বেশ বড় আকৃতির আরও একটি কচ্ছপ (বাটাগুর বাস্কা) ধরা পড়ে। গত দুদিনের ব্যবধানে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ দুটিকে বর্তমানে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

chardike-ad

পূর্ব সুন্দরবনের বাটাগুর বাস্কা প্রজেক্টর স্টেশন ম্যানেজার আ. রব জানান, সুন্দরবনের নলিয়ান রেঞ্জের কালাবগী স্টেশনের আওতাধীন সুতারখালী নদীতে বুধবার দুপুরে কুলসুম নামে এক নারী মাছ ধরছিলেন। এক পর্যায়ে তার জালে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কচ্ছপটি ধরা পড়ে। পরে তিনি বন বিভাগের কালাবগী স্টেশনে কচ্ছপটিকে হস্তান্তর করেন। শুক্রবার দুপুরে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার দুপুরে মোংলার মিঠাখালীর পুটিমারী খালে এক জেলের জালে বেশ বড় আকৃতির আরও একটি কচ্ছপ (বাটাগুর বাস্কা) ধরা পড়ে। পরে বিক্রির জন্য সেটা বাজারে নেয়া হলে বন বিভাগ কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে।

স্যাটেলাইট জিপিএস ট্রাকিং ট্রান্সমিটার সিস্টেম সংযোজিত এ বাটাগুর বাস্কা ছাড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল এর বিচরণক্ষেত্র, স্বভাব, পানির ওপরে রোদ পোহানো ও পানির নিচের অবস্থান নির্ণয়সহ প্রজননক্ষেত্র সম্পর্কে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ। আর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জুটিএসএ আমেরিকা ও বাংলাদেশ বনবিভাগ।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজলে এ প্রজেক্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এছাড়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে দেশ-বিদেশের কন্ট্রোল রুম থেকেই।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আ. রব আরও বলেন, ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো বিলুপ্তি প্রায় এ প্রজাতির পাঁচটি বাটাগুর কচ্ছপ সুন্দরবনের কালিরচরের সমুদ্র মোহনায় ছাড়া হয়েছিল। এ প্রজেক্টের মূল উদ্দেশ্য হলো বিরল প্রজাতির বাটাগুর বাস্কা কচ্ছপের প্রজনন বৃদ্ধির মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা।

পরে সুন্দরবনের নিলকমল ও তালতলী এলাকায় দুটি কচ্ছপ আগেই মারা গেছে। বাকি ৩টির মধ্যে সোমবার ও বুধবার উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ দুটির শারিরিক সুস্থতা ফিরে পেলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক আবারো ছাড়া হবে সমুদ্র মোহনায়।

সৌজন্যে- যুগান্তর