Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কথা রাখলেন তামিম ইকবাল

tamimকথা রেখেছেন তামিম ইকবাল। বলেছিলেন, বিপিএলের ফাইনালে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলতে চান। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক সেঞ্চুরি করে, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। শুধু সেঞ্চুরি করেই থামেননি, অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস খেলে, বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডও গড়েছেন তামিম। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করা তামিম, এদিন গড়েছেন ১১টি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও।

এদিন নিজেকে যে নতুন করে চিনিয়েছেন তামিম ইকবাল। মিরপুরে তার ইনিংসটাকে কি বলা যায়- ঝড়? নাকি তান্ডব? আসলে এমন ইনিংস সব বিশেষণের ঊর্ধ্বে।

chardike-ad

এটিই বিপিএলে প্রথম কোনো ফাইনালে পদার্পণ ছিলো চট্টলার ব্যাটিং রাজপুত্রের। এই ফাইনাল নিয়ে তামিমের আবেগ ছিলো চূড়ায়। যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ হলো ব্যাটে। হোম অব ক্রিকেটে ২৬ হাজার দর্শক মুগ্ধতা নিয়ে উপভোগ করেছেন তামিমের উইলোবাজি। প্রতিপক্ষের জন্য উপভোগ্য না হলেও, নিশ্চয়ই এমন ইনিংসের বন্দনায় মুখর তারাও।

ম্যাচের শুরুতে কিছুটা ধীরস্থির ছিলেন। কিন্তু, সময় গড়াতেই আবির্ভূত হন বিধ্বংসী চেহারায়। ৩১ বলে করেন ফিফটি। এরপরই যে বদলে যায় সব। পরের ৫০ রান করতে নেন মাত্র ১৯ বল। ৫০ বলেই স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক।

থামেননি সেখানেও। এদিন যেভাবেই ব্যাট চালিয়েছেন রান পেয়েছেন তামিম। কি এক অজানা শক্তি ভর করেছিলো তার ব্যাটে। আন্দ্রে রাসেল, সাকিব কিংবা রুবেল- বোলার পরিবর্তন করেও কাজে আসেনি। তামিম ততক্ষণে যে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছেন। তার আগুনে পুড়ে ছারখার ঢাকা ডায়নামাইটস। একে একে হাঁকান ১১টি ছক্কা। যেটি এক ইনিংসে কোনো বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড।

সুযোগ ছিলো ক্রিস গেইলের বিপিএল সর্বোচ্চ ১৪৬ রানের রেকর্ড ভাঙার। তামিম গিয়েছিলেন খুব কাছেই। ৬১ বলে খেলা অতিমানবীয় ইনিংসে স্ট্রাইকরেট ২৩১’এর ওপর। যদিও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১৪১ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এ নিয়ে কি কোনো আফসোস আছে তামিমের? থাকার কথা নয়। এমনিতে বলে-কয়ে সেঞ্চুরি করাটাই যেখানে অসাধারণ এক কীর্তি, সেখানে প্রথমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে উঠেই ২ ট্রফিতে চুমু খেলেন তিনি। একটি ম্যাচসেরার। আরেকটি শিরোপার।

শিরোপা জয়ের পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কর্ণধার নাফিসা কামাল বলেন, ‘তামিম ইকবাল প্রথম থেকেই বলে আসছিলো কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন হবে। আমাদের বিশ্বাস হতো না। সে গতকালই বলেছে, আজ সর্বোচ্চ স্কোরার হবে। ক্যাপ্টেন যেই হোক, তার মতো ক্রিকেটার যখন এমন কথা বলে তখন কাজটা সহজ হয়ে যায়।’

ম্যাচ শেষে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে তামিম এলেন ছেলে আরহাম ইকবালকে কোলে নিয়ে। উচ্ছ্বসিত রসিকতা করেই হয়ত বললেন, শেষ অংশের জন্যই রেখে দিয়েছিলেন নিজের সেরাটুকু।

‘পুরো আসর জুড়ে ভালো শুরুর চেষ্টা করেও আমি ইনিংস বড় করতে পারিনি। হয়ত নিজের সেরাটা শেষের জন্যই রেখে দিয়েছিলাম।’

তামিম বলেন, ‘আমরা ইনিংসটা পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজাতে পেরেছি। তাদের নারাইন ও সাকিবের মত দুজন বিশ্বমানের বোলার ছিল। আমরা তাদেরকে কোনো সুযোগ দেয়নি।’