Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bd-vs-wistবিশ্বকাপে এর আগে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে চারবার। একবারও জয় নেই বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০১১ সালে ঘরের মাঠে এই ক্যারিবীয়দের কাছেই ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবেছিল বাংলাদেশ। যদিও এবার শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অনেক এগিয়ে।

সেই এগিয়ে থাকার কারণেই এবার বাংলাদেশের কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা বেশি। টনটনে আজ কি করবে বাংলাদেশ? সে প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে ম্যাচ শেষে। তবে শুরুতেই টস জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

chardike-ad

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সবশেষ ৯ ম্যাচে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে। বাংলাদেশের জয় ৭টিতে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২টি। তবে বিশ্বকাপে উইন্ডিজের কোনো সফলতা নেই টাইগারদের। এমনকি এই বিশ্বকাপেই উইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানের লজ্জা নিয়ে অল আউট হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।

ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন ম্যাচ হারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার কঠিন প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের জন্য। আইপিএল খেলতে ব্যস্ত থাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ছিলেন না সাত জন তারকা খেলোয়াড়। আর তাই এবার টনটনের ছোট মাঠে ক্যারিবীয় বিগ হিটারদের আটকাতে শক্তি দুর্বলতা নিয়ে কাটা-ছেড়া করেই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানদের মূল শক্তির জায়গা ব্যাটিং। ওপেনিংয়ে গেইল, নিচের দিকে আন্দ্রে রাসেল মাঝে শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ। ব্যাটিং অর্ডারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ উইনারে ভরা, সবাই অ্যাটাকিং ব্যাসটম্যান। আক্রমণই উইন্ডিজ মূল ভরসা।

তবে, বোলিং অতটা শক্তিশালী নয় ক্যারিবিয় শিবিরে। হোল্ডার-রোচ-গ্যাব্রিয়েল-কোটরেল নামগুলো খুব একটা ভীতি জাগানিয়া নয়। বাউন্সারই তাদের শক্তির জায়গা, আর দুর্বলতা বাংলাদেশের। তাই এই অস্ত্র দিয়েই টাইগারদের ঘায়েল করতে চাইবে ক্যারিবিয়ানরা।

অন্যদিকে, টাইগার শিবিরে সব চেয়ে বড় সমস্যা সাকিব-মুশফিকের চোট। মিঠুনের অফ-ফর্মও বাড়াচ্ছে দুঃশ্চিন্তা। তামিম এখনও খেলেননি বড় ইনিংস। সেমিফাইনাল খেলতে চাইলে, ক্যারিবীয়দের হারাতে হলে ব্যাট হাতে অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলার বিকল্প নেই। তবে টনটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডের ছোট মাঠে উইন্ডিজকে আটকানোয় স্পিনারদের জন্য কঠিন হলেও সাকিব, মিরাজসহ মোস্তাফিজ, মাশরাফিদের ওপরেই ভরসা রাখতে হবে বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার,সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ,মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, সাই হোপ, ডারেন ব্রাভো, নিকোলাস পুরান, শিমরন হেটমায়ার, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, শেলডন কটরেল, ওশানে থমাস, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।