Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mashঅন্য কোনো অধিনায়ক হলে হয়তো আসতেন না। কিন্তু চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিদায়ের পরও যথারীতি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাশরাফি বিন মর্তুজা। ঢাকার শেষ চারে ওঠা এবং সবার আগে বিদায় নেওয়া প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দেওয়ার পর জাতীয় দলে খেলা এবং অধিনায়কত্ব নিয়েই বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন হলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

প্রশ্ন উঠলো -আপনি তো আগের দিন বলেছিলেন, পারফরম্যান্স অনুযায়ী আপনি এখন আর অটোমেটিক চয়েজ নন। কিন্তু একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনি তো এখনও প্রথম পছন্দ। এ বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত মতামত কি?

chardike-ad

মাশরাফির জবাব, ‘পারফরমারদের যাচাই বাছাইয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্বাচকদের। সেটা তারাই ভালো জানেন। আর অধিনায়ক মনোনীত করে বোর্ড। এখন বিসিবি চাইলে আমি ক্যাপ্টেনসি (অধিনায়কত্ব) ছেড়ে দেব।’

বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কের এমন কথার পর খুব প্রাসঙ্গিকভাবেই যে প্রশ্নটা উঠলো-সেক্ষেত্রে আপনার সিদ্ধান্ত কি? মাশরাফির রহস্যঘেরা ছোট্ট উত্তর, ‘আমারটা আমার কাছেই থাকুক।’

তবে ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে দেরি হয়নি তার। ধন্যবাদটা তিনি দিয়েছেন, তাকে ঘটা করে বিদায় সম্ভাষণ জানানোর ঘোষণা দেয়ায়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা শেষ হওয়ার পর লন্ডনে বসেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘মাশরাফিকে বীরের মর্যাদায় বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হবে।’

গতকাল (রোববার) আবারও বিসিবি বস বললেন, ‘মাশরাফিকে যতটা সম্ভব ঘটা করে বিদায় জানানো হবে এবং সেটা হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বিদায়ীপর্ব।’ তবে তা নিয়ে মাশরাফির যে খুব একটা উৎসাহ আছে, এমন মনে হয় না। তা থাকলে আর এ কথা বলতেন না, ‘আমার অমন বড়সড় বিদায়ী সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই।’

মাশরাফির শরীরী অভিব্যক্তিতে ফুটে উঠলো, ভালো কিছু হলে ভালো। না হলেও সমস্যা নেই। বিসিবি চাইলে এই মুহূর্তে অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিতে রাজি আছেন দেশের সর্বকালের সেরা এই অধিনায়ক।