Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইনিংস পরাজয়ের হ্যাটট্রিক বাংলাদেশের

pk-bdরাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংসের তুলনায় বেশ ভালো ছিল দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা। প্রথম ইনিংসে টপঅর্ডারদের ব্যর্থতায় হাল ধরেছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। সে ভুল শুধরে দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত বলার মতো ব্যাটিং করেন টপঅর্ডারের তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, মুমিনুল হকরা।

কিন্তু এ ইনিংসে যেন ব্যাটিংটাই ভুলে গেলেন মিডলঅর্ডারের মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। ১৬ বছর বয়সী পেসার নাসিম শাহ ও ৩৩ বছরের লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর বোলিংয়ে ধরাশায়ী হয়ে ইনিংস পরাজয়ই ডেকে এনেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালো শুরুর পর মাত্র ৪৪ রানে শেষের ৮ উইকেট হারিয়েছে মুমিনুল হকের দল।

chardike-ad

বাংলাদেশের করা ২৩৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২১২ রানের বড় লিড নেয় পাকিস্তান। স্বাগতিকদের আবারও ব্যাটিংয়ে নামাতে দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত ২১২ রান করতে হারতো বাংলাদেশকে। কিন্তু টাইগাররা অলআউট হলো মাত্র ১৬৮ রানে। ইনিংস ও ৪৪ রানের ব্যবধানে জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মূল্যবান ৬০ পয়েন্ট পেয়ে গেছে পাকিস্তান।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি টানা ষষ্ঠ পরাজয়। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে দুই ম্যাচে ইনিংস পরাজয় দিয়ে শুরু। এরপর ঘরের মাঠে আফগানিস্তান এবং ভারত সফরে গিয়ে আরও দুই ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার পাকিস্তানেও প্রথম ম্যাচে হালি পেল না টাইগাররা।

ইনিংস ও ৪৪ রানের বড় ব্যবধানের এ পরাজয়টি, বাংলাদেশের টানা তৃতীয় ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। নতুন অধিনায়ক মুমিনুল হকের অধীনে ভারত সফরের দুই টেস্টে যথাক্রমে ইনিংস ও ১৩০ রানে এবং ইনিংস ও ৪৬ রানের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর এবার রাওয়ালপিন্ডিতে ইনিংস ও ৪৪ রানের ব্যবধানে হেরে ইনিংস পরাজয়ের হ্যাটট্রিক পূরণ করল বাংলাদেশ।

আজ (সোমবার) ম্যাচের তৃতীয় দিন ইনিংস পরাজয় এড়াতে বাংলাদেশ দলকে করতে হতো ৮৬ রান, হাতে ছিল ৪টি উইকেট। তবে সকল আশা ভরসা ছিল শেষ স্বীকৃত দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মুমিনুল হকের ওপর। পাকিস্তানকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে এ জুটিকে খেলতে হতো লম্বা সময়।

কিন্তু দিনের প্রথম ওভারেই হতাশ করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল। শাহিন শাহর করা সে ওভারের পঞ্চম বলে দর্শনীয় এক কভার ড্রাইভে চার মেরে, পরের বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন তিনি। তখনই মূলত শেষ হয়ে যায় ইনিংস পরাজয় এড়ানোর সম্ভাবনা। আউট হওয়ার আগে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মুমিনুল।

শেষের তিন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে খানিক লড়াই করেন লিটন। দর্শনীয় কিছু শটে ৫৯ বলে করেন ২৯ রান। শেষপর্যন্ত তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ইয়াসির শাহ। পরে আবু জায়েদের উইকেট তুলে নিয়ে তিনিই শেষ করেন ম্যাচ। নাসিম শাহর মতো ইয়াসির শাহরও শিকার ৪টি উইকেট।

অথচ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও সাইফ যোগ করেছিলেন ৩৯ রান। পরে তামিম ৩৪ ও সাইফ ১৬ রান করে ফিরে গেলে জুটি বাঁধেন মুমিনুল ও শান্ত। এ দুজনের জুটিতে আসে ৭১ রান।

একপর্যায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১২৪ রান। সেখান থেকে রোববার শেষ বিকেলে মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। আর আজ শেষের ৪ উইকেট পড়ে ৪২ রানের ব্যবধানে। সবমিলিয়ে ৪৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।