
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশে যেন আর কখনও স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম না নেয়—সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়ায় বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে।
সোমবার (২২ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ২০তম দিনের সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দীন বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন। এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। একইভাবে, একটি স্বাধীন সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাবও আমরা দিয়েছিলাম। সেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন—এটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে পরবর্তীতে কোনো সংশোধনী আনলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এটিও গ্রহণযোগ্য হওয়ায় আমরা এটিকে ভবিষ্যতের জন্য বড় অগ্রগতি মনে করি।
তবে অগ্রগতির মধ্যেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও আছে। কিন্তু যদি দায়িত্ব আর জবাবদিহিতা থাকে, অথচ কর্তৃত্ব না থাকে—তবে কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, সংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগে নির্বাহী বিভাগের হাত-পা বাঁধা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে একটি শক্তিশালী নির্বাহী বিভাগ অপরিহার্য।






































