
পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) হিসেবে কার্যক্রম চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট-এনওসি) পেয়েছে বাংলালিংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া এই অনাপত্তিপত্রের মাধ্যমে সারা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল আর্থিক সেবা পরিচালনা করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠান তিনটি মূলত পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) সেবার অনুমতি পেয়েছে। এসব সেবা চালু হলে পরবর্তী সময়ে তা মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) রূপান্তরিত হতে পারবে।
ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকেরা তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ পাঠানো, রেমিটেন্স সেবা, বিদ্যুৎ ও সরকারি বিল পরিশোধ, অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় ও দোকানদারকে অর্থ পরিশোধ এবং বেতন ও ভাতা বিতরণসহ সঞ্চয় ও বিমা কিস্তি পরিশোধের মতো বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলালিংক জানিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম এবং প্রতিদিনের ১৪৪০ মিনিটকে মানুষের কাজে লাগানোর ডিজিটাল সেবা কৌশল অনুসরণ করে বাংলালিংক প্রয়োজনীয় আর্থিক ও ডিজিটাল সেবা সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৈশ্বিক ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলালিংকের মূল কম্পানি ভিয়ন এই অনুমোদনকে দেশের ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং নগদবিহীন অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জোহান বুসে বলেন, বাংলালিংকের সারা দেশের নেটওয়ার্ক এবং ভিওনের বৈশ্বিক সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুলছি। আমরা বিশ্বাস করি সহজ, নিরাপদ ও সবার জন্য সহজলভ্য ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিশ্চিত করা উচিত। এই অনুমোদন আমাদের সেই বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করেছে। মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে নেওয়া আমাদের ‘ডিও১৪৪০’ কৌশল অনুসরণ করে আমরা চাই গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল ও আর্থিক সেবা যেন সবসময় সবার হাতের নাগালে থাকে।
তিনি বলেন, বাংলালিংক ভবিষ্যতেও এমন উদ্ভাবনে কাজ করবে, যা দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করবে, জনগণকে ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখে এবং বাংলাদেশকে সংযুক্ত ও ভবিষ্যৎমুখী ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেয়।








































