সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরব গেলেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। এরা হলেন- পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল করিম, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন।
রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরব রওয়ানা হন। বৃহস্পতিবারই (১৫ অক্টোবর) কামরুলকে নিয়ে দেশে ফিরবেন পুলিশের এ প্রতিনিধিরা।
গত ৮ জুলাই শিশু রাজনকে নৃশংসভাবে হত্যার পরপরই সৌদি আরব পালিয়ে যান প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম। সেখানে গেলেও প্রবাসীরা তাকে আটক করে রিয়াদ পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তারপর থেকে সেখানে আটক রয়েছেন কামরুল। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে সৌদি কর্তৃপক্ষও ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়।
এ দিকে, আলোচিত এই হত্যা মামলায় কামরুলসহ তিনজনকে পলাতক দেখিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে রাজনের বাবা-মাসহ ১৭ জন এ মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন।