Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ডেইরি খামারী শাহীন এখন কোটিপতি

sahinডেইরি খামার করে বেকারত্ব দূর করে সফলই হননি এখন তিনি একজন কোটিপতি। এ সফল খামারী হয়েছেন চিরিরবন্দরের শাহীন সরকার।

মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে তিনি ডেইরি খামার করে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা আয় করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। সফল খামারী শাহিন সরকারকে এখন কোটিপতি বললে ভুল হবে না। সফল এ খামারী চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর গ্রামের ময়নুদ্দীন শাহের ছেলে শাহীন।

chardike-ad

শাহীন সরকার জানান, ২০০০ সালে মাত্র ৫টি গাভী দিয়ে খামার শুরু করেন। তিনি এটার সঙ্গে জড়িত থেকে খামারের উন্নতি করতে থাকেন। বর্তমানে তিনি শংকর জাতের ৮০টি গরুর মালিক। এর মধ্যে গাভী ৪০টি, বকনা ১৫টি, ষাঁড় ৫টি ও বাছুর ২০টি রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কেটি টাকা।

শাহীন জানান, ৫টি গরু নিয়ে খামার শুরুর পর থেকে দৈনিক দুধ উৎপাদন হতো ২৫ লিটার। এখন তা দাঁড়িয়েছে গাভীর সংখ্যা ৪০টিতে। যা থেকে দৈনিক ২৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। উৎপাদিত দুধ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মিল্কভিটা, ব্রাক চিলিং সেন্টারসহ বিভিন্ন বাজারের মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করা হয়। বছরে ষাঁড় ও বাছুর বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় হয়। খামারের আয় দিয়ে একটি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। যা দিয়ে বাড়ি ও খামারের যাবতীয় রান্নার জ্বালানি মেটানো সম্ভব হয়। এছাড়াও গোবর থেকে মাসিক ১০ হাজার টাকা আয় করেন।

তাকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে একটি ক্রিম সেপারেটর মেশিন সরবরাহ করা হয়। সম্প্রতি তিনি ওই মেশিনের সাহায্যে ঘি তৈরি করে অতিরিক্ত আয় করছেন।

তিনি আরও জানান, ডেইরি খামারের পাশাপাশি একটি ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন। এ খামারে ছাগলের সংখ্যা ৩০টি। প্রতি বছর ছাগল বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় হয়। খামারে গরু ও ছাগলের পরিচর্যার জন্য ৫ জন শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে ৫টি পরিবারেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।

তিনি আশাবাদী সরকারের আরো পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হয়তো বাংলাদেশের একজন সেরা খামারী হিসাবে তার খামারকে দেশের একটি মডেল খামার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

চিরিরবন্দর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক হোসেন জানান, উপজেলার ১৯৯ খামারের মধ্যে তিনি প্রথম সারিতে অবস্থান করছেন। তার খামারসহ সকল খামারের জন্য যাবতীয় সুযোগ সুবিধার জন্য সর্বদা প্রস্তুত উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। তার মতো অবশিষ্ট খামারগুলো উন্নতি লাভ করতে পারলে এলাকায় দুধ ও আমিষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আর্থিকভাবে লাভবান ও বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণসহ দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারতো।