Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এমপি আমানুর কারাগারে

base_1474191525-rana-sm20160918125955

আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইল–৩ আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

chardike-ad

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির হন সাংসদ আমানুর। কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই তিনি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ঢুকে পড়েন। তিনি পলাতক ছিলেন।

আত্মসমর্পণ করার পরে আমানুর রহমানের পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শেষে বিচারক আবুল মনসুর আহমেদ জামিন নামঞ্জুর করে আমানুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতে মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইলে কলেজপাড়া এলাকায় তার বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানার পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিছুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে সাংসদ আমানুর ও তার তিন ভাইয়ের এ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে সাংসদ ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে আছেন।

এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সাংসদ আমানুর ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ১৭ মে এই ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও মালামাল জব্দ করার নির্দেশ দেন আদালত।

২০ মে পুলিশ সাংসদ ও তার তিন ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালামাল জব্দ করে, তবে সেখানে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। সর্বশেষ ১৬ জুন আদালত আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দেন। সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি চিঠি দিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে জানানো হয়।