Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাস’, স্বীকৃতির অপেক্ষায় বাংলাদেশ

kishorgonjবাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানার মাঠে বুধবার প্যান্ডেল টাঙিয়ে তৈরি করা হয় সোয়া চার হাজার বর্গফুটের বিশাল ক্লাসরুম।

এর মধ্য দিয়ে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাস’ তৈরির বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দাবি করছেন আয়োজকরা। এখন গিনেস বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অপেক্ষা।

chardike-ad
 কুলিয়ারচরের ইউএনও উর্মি বিনতে সালাম বলেছেন, ৩ হাজার ২শ’ শিক্ষার্থী এই ব্যবহারিক ক্লাসে অংশ নেয় । সেখানে অতিথি শিক্ষক হিসেবে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল । গল্প ও খেলার মাধ্যমে পাঠদানে তাকে সহায়তার জন্য সেখানে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন ওই এলাকার বিভিন্ন স্কুল – কলেজ থেকে আসা একশো ত্রিশজন শিক্ষক।

মিজ উর্মি জানান, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে বুধবার সকাল ১১টায় শুরু হয় মহড়া। এরপর বেলা ১২টায় ক্লাস শুরু হয়। চুম্বকের এক্সপেরিমেন্ট এবং কম্পিউটার বিষয়ক প্রাথমিক বিভিন্ন পাঠ দেয়া হয়।

রেকর্ড করাটাই এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল কি-না? এই প্রশ্ন করা হলে মিজ উর্মি জানান, সেটা ছিল গৌণ উদ্দেশ্য। মূল লক্ষ্য ছিল বাচ্চাদের মাঝে ব্যবহারিক ক্লাসের প্রতি ধারনা তৈরি করা। সেইসাথে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা।

কিন্তু বাংলাদেশের গ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ কতটা?

“প্রাথমিক স্তরে ব্যবহারিক শিক্ষা একেবারেই নূন্যতম পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখাপড়াটা একেবারেই পাঠ্যবই কেন্দ্রিক। ব্যবহারিক ভাবে লেখাপড়ার সুযোগ গ্রামে এখনো সেভাবে পৌঁছাতে পারেনি” স্বীকার করেন তিনি।

তিনি আরো যোগ করেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আজ বাচ্চারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে যে ধারণা পেল, এই কুলিয়ার চর থেকেই ভবিষ্যতের মার্ক জাকারবার্গ, স্টিফেন হকিং-এর মত বিজ্ঞানীরা একদিন বেরিয়ে আসবেন।”

গিনেস বুকে এখন পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাস আয়োজনের কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়ার দখলে। সেই ক্লাসে গত বছর একসঙ্গে দুই হাজার ৯০০ ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছিল।–বিবিসি।