Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নরসিংদীতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে বিভ্রান্তি

narsingdiসম্প্রতি সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযানের সময় জঙ্গি হামলার সাথে যারা জড়িত ছিলো তাদের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন অবস্থান করছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকেই নরসিংদীর গাবতলির উত্তরপাড়ার একটি বাড়িকে ঘিরে রেখেছিলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো বাড়িটিতে অন্তত ৪/৫ জন রয়েছেন।

গতকাল সকাল নাগাদ তাদের সাথে যোগাযোগের পর পাঁচজনকেই বাড়িটি থেকে বের করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র‍্যাব, তবে এরপর আটক ব্যক্তিদের পরিচয় বা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

chardike-ad

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়েই অভিযান পরিচালনা করেছেন তারা।

তবে আটক হওয়ার আগে র‍্যাবের ঘিরে রাখা বাড়িটিতে থাকা ব্যক্তিদের একজন আবু জাফর মিয়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দাবি করেন তারা নিরপরাধ এবং বাড়িটির বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো আছে। সেটা খুলে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ করেন তিনি।

আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি নিজেদের সাধারণ শিক্ষার্থী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করে। তার সাথে ওই বাড়িতে থাকা মশিউর রহমানের বাবা ফজলুর রহমানও দাবি করেন তার ছেলে নির্দোষ।

তিনি বলেন, “আমার ছেলে একটি কোম্পানির হয়ে চট্টগ্রামে একটি মেলায় কাজ করছিলো। তাকে বলা হয় আপাতত তাকে আর দরকার নেই। দরকার হলে তারা পরে যোগাযোগ করবে। পরে কোম্পানি থেকে তাকে ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সে নরসিংদীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলো। তারপর সে ওখানে আটকা পড়ে।”

জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা নিয়ে র‍্যাবের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “এসব কর্মকাণ্ডের সাথে আমার ছেলে জড়িত নয়।”

আটক পাঁচজনের মধ্যে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী এবং মাদ্রাসাটির একজন সাবেক শিক্ষার্থীও রয়েছেন। আর বাকীদের মধ্যে অন্তত দুজন নরসিংদী কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের স্বজনদের অনেকেই তাদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধিও বলেছেন, যাদের আটক করা হয়েছে তার মধ্যে অন্তত একজনকে তিনি ভালোভাবেই চেনেন এবং তিনি জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত নন।

আটক আরেক জনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ আতিকুর রহমানও একই ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “তার মধ্যে এসব কখনো দেখা যায়নি। অনেক বছর ধরে চিনি। ভালো ছেলে। লেখাপড়া করে। নামাজ পড়ে এ পর্যন্তই।”

র‍্যাব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, জঙ্গিবাদে জড়িতদের বিষয়ে অনেক সময়ই পরিবার সঠিক তথ্য জানতে পারে না, হোলি আর্টিজানের ঘটনাতেই সেটি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, তাদের ধারণা আটক পাঁচ জনের মধ্যে কয়েকজন জঙ্গিদের সাথে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে সম্প্রতি সিলেটের আতিয়া মহলে যেসব জঙ্গিরা ছিলো তাদের সাথে কিছুটা সম্পৃক্ততা থাকার তথ্য পেয়েছেন তারা।

বাড়িটিতে কোন বিস্ফোরক বা অস্ত্র না পেলেও মিস্টার খান বলছেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করবেন তারা।