Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে প্রবাসীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

sekantar-mayaপ্রবাসে থাকা অবস্থায় মোবাইলের ক্রস কানেকশনে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সেকান্তর জমাদ্দারের (২৮) সঙ্গে পরিচয় হয় ফরিদপুর সদর উপজেলার মায়া আক্তারীর (২৬)। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমো ও হোয়াটস অ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে উভয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই এসব সম্পর্ক অস্বীকার করেন সেকান্তর। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সেকান্তারের বাড়িতে অনশন করছেন মায়া।

শুক্রবার দুপুর থেকে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের কুচিয়ামারা গ্রামের জমাদ্দার বাড়িতে অনশন করছেন মায়া। সেকান্তর ওই গ্রামের জমদ্দার বাড়ির গাজী জমাদ্দারের ছেলে। আর মায়া আক্তারী ফরিদপুর সদর উপজেলার ফরিবাদ গ্রামের শেখ বাড়ির মো. হাফিজ শেখের মেয়ে।

chardike-ad

মায়া সাংবাদিকদের জানান, দেড় বছর আগে কাজের ভিসায় সৌদিতে যান তিনি। মোবাইল ক্রস কানেকশনে বাহরাইন প্রবাসী সেকান্তরের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর ইমো ও হোয়াটস আ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু হঠাৎ মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ৩০ মে সেকান্তর দেশে ফিরে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।

মায়া আরও জানান, এ ঘটনা শুনে তিনি চাকরি ছেড়ে ৩ জুন দেশে চলে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর থেকে রায়পুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তিনি সেকান্তরের বাড়িতে যান। তার পরিবার তার দাবি মেনে না নেয়ায় তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দাবি করেন। পরে রাতে নিরাপত্তার কারণে মহিলা ইউপি সদস্য পারভিন আক্তারের ঘরে আশ্রয় নেন তিনি। সেকান্তর তাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ার হুমকি দেন।

এদিকে সেকান্তর জমাদ্দার পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার জানান, সেকান্তরের পরিবারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মায়াকে ঘরে তুলে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।