Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশের প্রথম ফিস ওয়ার্ল্ড এ্যাকুরিয়াম

উপরে মাছ, ডানে মাছ, বামে মাছ। অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছের ভিতর দিয়ে পথ চলতে হবে।

chardike-ad

তবে হঠাৎ হাঙ্গর মাছ সামনে এসে উপস্থিত হয়ে যেতে পারে। মানুষ খেকো মাছ পিরানহা ধারালো দাঁত খুলে হা করে ছুটে আসতে পারে। গায়ে লেগে যেতে পারে কুচিয়া, কচ্ছপ, কাঁকড়া, আউসসহ সাগরের তলদেশের নানা কিট পতঙ্গ। এর মাঝে সাগরের তলদেশের গাছ পালা, লতা, পাতা, গুল্ম, ফুল গায়ে পরশ লাগিয়ে দেবে।

সাগরের পাহাড়, গুহা, তলদেশ উঁচু নিচু আর এলোমেলো সাগর পথ পাড়ি দিতে দুই ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হবে। এমন এ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ বিনোদনের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো ফিস ওয়ার্ল্ড এ্যাকুরিয়াম হয়েছে কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায়। যা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে সংযোজন হয়েছে বিনোদনের নতুন ধাপ। বেসরকারিভাবে এটি তৈরি করেন রেডিয়েন্ট গ্রুপ। আজ বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে।

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড এ্যাকুরিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, এটি মালেশিয়ার টেকনিক্যাল প্রকৌশলির সহায়তায় নির্মিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এই এ্যাকুরিয়াম নির্মাণে সময় লেগেছে দুই বছর। তিনি বলেন, এটি শুধু কক্সবাজারের জন্য নয়- বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বড় ভূমিকা রাখবে।

কারন হচ্ছে এই এ্যাকুরিয়ামে বঙ্গোপসাগরের থাকা বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মৎস্য সংক্ষণ করা হয়েছে। অচেনা এবং বিলুপ্ত প্রায় অনেক মাছও রয়েছে। সাগরের বিলুপ্ত মাছ বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে একটি জাদুঘরও করা হচ্ছে। এটা শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এটি সাগরের জীববৈচিত্র ও প্রাণী সম্পর্কে জানার একটি শিক্ষা কেন্দ্র।

কক্সবাজারের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবদুল আলীম জানিয়েছেন, কক্সবাজারে স্থাপিত এটিই হচ্ছে দেশের প্রথম সামুদ্রিক ফিস এ্যাকুরিয়াম।

এ্যাকুরিয়ামের তত্বাবধায়ক সমুদ্র বিজ্ঞানী মো: নুরুল বাকি জানান, এ্যাকুরিয়ামে রাখা হয়েছে সামুদ্রিক শৈল মাছ, হাঙ্গর, পিতম্বরী, আউস, শাপলা পাতা, সাগর কুচিয়া, বোল, পানপাতা, বোল, পাংগাস, চেওয়া, কাছিম, কাঁকড়া, জেলি ফিসসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ। কিছু বিরল প্রজাতির মাছও এখানে রয়েছে। কালের কন্ঠ।