আব্বু জান্নাত থেকে দেখ, লাখো মানুষ তোমাকে মনে রেখেছে। তোমার মৃত্যুতে মানুষ শোকাহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আনিসুল হকের ছেলে নাভিদ হক এসব কথা লিখেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে নাভিদ হক আরো বলেন, বাবা সবসময় চাইতেন তিনি যখন মেয়র থাকবেন না তখনও মানুষ যেন তাকে মনে রাখে।
মেয়র থাকতে থাকতেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশনে উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি।
এরপর ব্যবসায়ী থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। জীবনের সকল অধ্যায়েই স্রোতের বাইরে থেকে কিছু করার চেষ্টা করেছেন আনিসুল হক। যে কারণে দল-মত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার একজন মানুষ হয়ে আছেন তিনি।
হৃদয়ছোঁয়া এক স্ট্যাটাসে নাভিদ হক আরো লিখেন, আমার বাবা আজ (বৃহস্পতিবার) লন্ডন সময় ৪টা ৩৩ মিনিটে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
ব্যবসা, সুশীল সমাজের সক্রিয় সদস্য ও সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে বাবার ব্যস্ততার কারণে তার সঙ্গে শৈশবে আমার খুব বেশি স্মৃতি নেই। কিন্তু যখন আমি বড় হয়েছি ততই তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
তিনি আমার দিক নির্দেশক, আমার সহযোগী, আমার গুরু, আমার জীবনের পথপ্রদর্শক আলো।
তিনি আরো লিখেন, বাবা যখন ডিএনসিসির মেয়র হলেন তখন আমি ছিলাম তার নির্ভরযোগ্য সহযোগী। আমার সঙ্গে তিনি তার সব কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও স্বপ্নের কথা বলতেন। তিনি আমাকে সর্বশ্রেষ্ঠ মূল্যবোধ, সততা ও বিনম্রতার সঙ্গে জীবনযাপন শিখিয়ে গেছেন।
যারা তার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিরা এবং যারা তার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাদের সঙ্গে তার দরাজ কণ্ঠ, হাসি, জ্ঞান, কবিতা ও স্পর্শ সবসময় থাকবে।
নাভিদ লিখেন, আমি তোমাকে প্রতিটি দিন অনেক মিস করব, তোমার মতো কিংবদন্তিকে আমার বাবা হিসেবে পাওয়ায় আমি অনেক ভাগ্যবান। বাবাকে উৎসর্গ করে লেখা ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো পড়ে আমার চোখে পানি এসে গেছে।
যারা আমার বাবার প্রতি ভালোবাসা, সম্মান প্রদর্শন করেছেন ও তার জন্য প্রার্থনা করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই।