Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও চাকরি জুটলো না হাসানের কপালে

cook১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে মো. হাসান পেয়েছেন ৮৯। এই নম্বর পেয়ে ৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন হাসান। পরীক্ষায় প্রথম হওয়া প্রার্থীর নম্বর ৯১। কিন্তু  বাবুর্চি/সহকারী বাবুর্চি পদের জন্য চূড়ান্তভাবে ১৩ জন নিয়োগ পেলেও হাসানের চাকরি হয়নি।

পদটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) আওতাধীন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রাজস্ব খাতভুক্ত। নিয়োগ না পেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে নিজের নম্বর ও অবস্থান জানতে পারেন হাসান। কিন্তু নিয়োগ না পাওয়ার কারণ এখনো জানা গেল না।

chardike-ad

হাসানের বিষয়টি জানালে নিপোর্টের মহাপরিচালক রওনক জাহান বলেন, ‘হানড্রেড পারসেন্ট শিওর, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। এ ধরনের পদের বেলায় শুধু নম্বর দেখা হয় না, অন্যান্য অনেক বিষয় দেখতে হয়। নিয়োগ কমিটি, প্রশাসন চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সরকারি নিয়মকানুন মেনেই নিয়োগ দিয়েছে। কেউ অভিযোগ তুললেই তো হবে না।’

ঝালকাঠির মো. হাসান বর্তমানে ঢাকার ধামরাইতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘পদের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাসসহ যা যা চাওয়া হইছে তার সবই আমার আছে। নিপোর্টের একজন স্যার আমাকে বলছেন, আমি চাকরি পাই নাই, এটা আমার দুর্ভাগ্য। তাঁরা চাকরি দিতে পারেন নাই, তা তাঁদের দুর্ভাগ্য।’

বাবুর্চি/সহকারী বাবুর্চি পদের জন্য ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত বছরের ১২ মে লিখিত পরীক্ষা হয়। তারপর মৌখিক পরীক্ষা। চাকরি না হওয়ায় গত বছরের আগস্টে হাসান তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। নিজের প্রাপ্ত নম্বর জানার পাশাপাশি এ পদে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের নাম, প্রাপ্ত নম্বর, লিখিত পরীক্ষার কপি, ফলাফলের ট্যাবুলেশন শিট, নিয়োগ কমিটির সর্বশেষ দুটি সভার কার্যবিবরণীসহ আরও কয়েকটি তথ্য জানতে চান তিনি। কিন্তু নিপোর্টের প্রশাসন শাখা থেকে হাসানকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির মোট ছয়টি পদে শুধু লোক নিয়োগের অফিস আদেশের কপি দেওয়া হয়। বাকি তথ্যের জন্য হাসান তথ্য অধিকার আইনে আপিল করেন।

গত ১০ ডিসেম্বর তথ্য কমিশনে প্রধান তথ্য কমিশনারের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে বাবুর্চি/সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগসংক্রান্ত ট্যাবুলেশন শিট ও রেজ্যুলেশনের তথ্য দিতে নিপোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর তাঁকে সব তথ্য সরবরাহ করে নিপোর্ট। তাতেই জানা যায়, পরীক্ষায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন হাসান।

নিপোর্ট তথ্য দিলেও হাসানকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগও মানতে নারাজ তারা। এ অবস্থায় কেন চাকরি পেলেন না, তা জানতে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান হাসান।

সূত্র: প্রথম আলো