Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাঈদীকে আলেম বলায় মাহফিলে বাধা, আ’ লীগ নেতা লাঞ্ছিত

gopalganj-saydiগোপালগঞ্জে একটি ওয়াজ মাহফিলে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে মন্তব্য করায় প্রধান বক্তাকে ওয়াজ করতে বাধা ও মঞ্জ থেকে নামিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা। এতে ওয়াজ মাহফিলে আসা উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নেতাকে লাঞ্ছিত করেছেন।

সোমবার দিবাগত রাত ১১ টায় জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ছোটখারকান্দি গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত কাজী জাহাঙ্গীর আলম মাহফিল কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

chardike-ad

জানা যায়, গত সোমবার উপজেলার ছোটখারকান্দি গ্রামবাসীর উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাত ১১ টার দিকে মাহফিলের প্রধান আকর্ষণীয় বক্তা মুঈনুল ইসলাম ওয়াজ করেন। এ সময় তিনি মানবতাবিরোধী মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে প্রখ্যাত আলেম ও নিরপরাধ হয়েও জেল খাটছেন উল্লেখ করে সাঈদী সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী সম্পর্কে আরও কিছু কথা বলার জন্য উপস্থিত লোকদের কাছে অনুমতি চান।

এ সময় মাহফিলের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম ওই বক্তাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। এতে মাহফিল শুনতে আসা লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের ওই নেতার ওপর চড়াও হয়। তারা আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে লক্ষ্য করে জুতা-সেন্ডেল নিক্ষেপ করে উত্তেজিত লোকেরা। পরে তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মাহফিলে আগত বক্ততা মুঈনুল ইসলাম দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর গুনগান গেয়ে ওয়াজ করছেন। এ সময় আমি তাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করি। কিন্তু তিনি না শুনলে আমি তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিতে বাধ্য হই। এ সময় ওই বক্তার সমর্থিত জামায়াতপন্থী কিছু লোকেরা আমার ওপর চড়াও হয়। আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাহফিল থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হই।’

মাহফিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তাওহীদুল ইসলাম কামাল জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রামবাসীর উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে প্রায় ১০ হাজার লোকের আগমন ঘটেছিল। কিন্তু হঠাৎ মুঈনুল ইসলামের আপত্তিকর বক্তব্য শুনে মাহফিলের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাহাঙ্গীর আলম উত্তেজিত হয়ে ওয়াজ করতে নিষেধ করেন। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই লোকজন উত্তেজিত হয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা ও জুতা-সেন্ডেল নিক্ষেপ করে। আমরা এলাকাবাসী উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।’

কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত স্বাভাবিক করি। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।