Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

২৮২ রানে অলআউট পাকিস্তান, স্বস্তিতে নেই অস্ট্রেলিয়াও

pakপাকিস্তান দলের জন্য একটা ট্র্যাজেডির দিন বলা যায় আজকের দিনটিকে। দু’জন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির একেবারে কাছে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন। একজন ফাখর জামান। ওয়ানডেতে মাঠ কাঁপিয়ে ফেলার পর অবশেষে টেস্টে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। অভিষেকেই ব্যাট হাতে ঝলক দেখাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দুরে থাকতে আউট হয়ে যেতে হলো তাকে।

৯৪ রানে আউট হয়েছিলেন আরেকজন। তিনি, পাকিস্তান দলের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে এসে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হলো সরফরাজকে। বিস্ময়কর হলো, ৯৪ রান করা দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলা অস্ট্রেলিয়ান লেগ ব্রেক বোলার মারনাস লাবুচানে।

chardike-ad

শেষ পর্যন্ত আবু ধাবি টেস্টের (সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট) প্রথম দিনেই প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৮২ রানে অলআউট হয়ে গেলো পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই অস্ট্রেলিয়াও। প্রথম দিন শেষ করলো তারা ২ উইকেট হারিয়ে ২০ রান নিয়ে।

প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে গৌরবোজ্জ্বল ড্র এনে দেয়া ওপেনার উসমান খাজা অবশ্য এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হয়ে গেছেন মাত্র ৩ রান করে। মোহাম্মদ আব্বাসের বলে উইকেটের পেছনে সরফরাজের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৪ রান করে আউট হয়ে যান নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামা পিটার সিডল। তাকেও সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ আব্বাস। ১৩ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন অ্যারোন ফিঞ্চ।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল পাকিস্তান। মাত্র ৪ রান করে মোহাম্মদ হাফিজ আউট হয়ে যান। দলীয় রান ছিল তখন ৫। এরপর ফাখর জামান এবং আজহার আলি মিলে দলকে নিয়ে যান ৫৭ রান পর্যন্ত। এ সময় হঠাৎ করে ঝড় তোলেন অফব্রেক বোলার নাথান লিওন।

মাত্র ৬ বলের ভেলকিতে লণ্ডভণ্ড করে দিলেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার। এই বলের মধ্যে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। ফিরিয়ে দিলেন, আজহার আলি, হারিস সোহেল, আসাদ শফিক, বাবার আজমকে। ১ উইকেটে ৫৭ রান থেকে এক মুহূর্তে ৫ উইকেটে ৫৭ রান হয়ে গেলো পাকিস্তানের। এরপর ফাখর জামান আর সরফরাজ আহমেদ মিলে ১৪৭ রানের জুটি গড়েন।

৯৪ রান করে ফাখর জামান আউট হয়ে যাওয়ার পর বিলাল আসিফ, ইয়াসির শাহদের নিয়ে আরও ছোট ছোট দুটি জুটি গড়েন সরফরাজ। শেষ পর্যন্ত ২৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। নাথান লিওন ৪টি এবং মারনাস লাবুচানে নেন ৩টি উইকেট। ২ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, ১ উইকেট নেন মিচেল মার্শ।