
আফ্রিকার দেশ বেনিনে প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস তালোনকে উৎখাতের দাবি তুলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের নিয়ন্ত্রণ নেয় একদল সেনাসদস্য। রোববার টেলিভিশনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে তারা ঘোষণা দেয়, তালোন আর দেশের প্রেসিডেন্ট নন। নিজেদের ‘মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন (সিএমআর)’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া ওই সেনাদল দাবি করে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এখন তাদের হাতে।
ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানায়, প্যাট্রিস তালোন নিরাপদে আছেন এবং সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেছে। একই তথ্য নিশ্চিত করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওলুশেগুন আদজাদি বাকারি। তিনি রয়টার্সকে বলেন, “অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চলছে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকাল থেকেই বেনিনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী কোটোনুর ক্যাম্প গেজো এলাকায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে লাইভ গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দৌড়ে ঘরে আশ্রয় নেন এবং চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
বিদ্রোহী সেনাদের নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল তিগ্রি পাসকাল। তারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে ঘোষণা দেন- দেশের সব রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ভবনের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকায় চলাচলে বিধিনিষেধও আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার প্রেক্ষিতে বেনিনে অবস্থানরত নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ফ্রান্স দূতাবাস। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।









































