Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অবশেষে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ করে নিলেন বিজ্ঞানী গুডঅল

goodallঅবশেষে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ করে নিলেন অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ডেভিড গুডঅল। পূর্বনিধারিত সময়ে সুইজারল্যান্ডের বাসেলের একটি ক্লিনিকে বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ইনজেকশনের মাধ্যমে গুডঅলের যন্ত্রণাহীন মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সুইজারল্যান্ডের ক্লিনিকটি। এজন্য, খরচ পড়েছে ৮ হাজার ডলার।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া থেকে রিটার্ন টিকিট ছাড়ায় সুইজারল্যান্ডে পৌঁছান জীবনকে আর টেনে নিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া এই উদ্ভিদ বিজ্ঞানী। সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার পথে বিরতি নেন ফ্রান্সে। সেখানে সময় কাটান কন্যা ও নাতিদের সাথে।

chardike-ad

জীবনের শেষ খাবার কী খেয়েছিলেন গুডঅল? জানা গেছে সেটিও। মাছ, চিপস এবং চিজকেক দিয়ে সেরেছেন জীবনের শেষ মিল। এটিই নাকি পছন্দের তার ‘ফুড মেন্যু’।

গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন বেথোফেনের ‘ওডে টু জয়’ শুনতে শুনতে মারা যেতে ভালো লাগবে তার। করা হয়েছিল সেই ব্যবস্থাও। স্বেচ্ছামৃত্যু বরণে গুডঅলকে সহযোগিতা করেন এক্সিট ইন্টারন্যাশনালের ড. ফিলিপ নিটস্কে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সারাদিন সুইজারল্যান্ডের বেসেলের একটি বোটানিক্যাল গার্ডেনে তার ৩ নাতি ও নাতিদের বান্ধবীদেরসহ ঘুরে বেড়ান গুডঅল। জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো বেশ আনন্দমুখর কাটিয়েছেন তিনি।

১০৪ বছর বয়সে এসেও শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন গুডঅল। কিন্তু তার উপলব্ধি হয়, বার্ধক্যে কোনো স্বাধীনতা নেই। বাঁচতে হয় অন্যের উপর নির্ভর করে। অথচ, তিনি বরাবরই যুবকের মতো বাঁচতে চেয়েছিলেন। জীবনের শেষ প্রান্তে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা আর ভালো লাগছিল না তার।

বলেছিলেন, এই জীবন আর উপভোগ করছি না। আর বাঁচতে চাই না। এখন শুধু দুঃখগুলো সঞ্চয় করে রাখছি। তার মতে, বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত। নিষ্কৃতি মৃত্যুর পক্ষে রাষ্ট্রের অনুমোদন থাকা উচিত বলে মনে করেন গুডঅল।

দাদার মৃত্যুশয্যার পাশে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট থেকে ছুটে আসা নাতি ডানকান গণমাধ্যমকে জানান, তিনি খুবই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি জানি না সে সময় আমার কেমন অনভূতি হবে। তবে, যুক্তিসঙ্গত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি এটিকে সম্মান জানাই।

গুডঅলের পরিবার তার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও এর যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই। অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের এক মুখপাত্র বলেছেন এমন সিদ্ধান্তকে উৎসাহ দেয়াটা কঠিন। যত আলোচনা-সমালোচনাই হোক না কেনো সবকিছুর উর্ধ্বে চলে গেছেন ড. ডেভিড গুডঅল।