শুক্রবার । ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে, বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ


তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে, বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। পৌষ না আসতেই হাড়কাপানো শীতে কাঁপছে দেশের সর্ব উত্তরের এই জনপদের মানুষ। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। আর সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৭৮ শতাংশ।

গত টানা পাঁচ দিন ধরে ১০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা বিরাজমান ছিল। আজ একলাফে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরে মশারির মতো ছড়িয়ে আছে হালকা কুয়াশা। শিশির জমে আছে গাছের লতাপাতা আর ফসলের ডগায়। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো কিছুটা রোদ ছড়ালেও উত্তরীয় হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে জর্জরিত মানুষজন।

ভোরে প্রচণ্ড শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের কাজে বের হতে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। তবুও যেতে হয় চা বাগানে, পাথর তুলতে, কৃষি কিংবা দিন মজুরি কাজে।

পাথর শ্রমিক ও চা শ্রমিকরা বলেন, কয়েকদিন ধরেই ঠান্ডাটা বেশি মনে হচ্ছে। আজকে আরও বেশি ঠান্ডা। দিনের বেলায় রোদ থাকলেও রোদের তেজ তেমন দেখা যায়নি। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হচ্ছে। কাজে যেতে কষ্ট হলেও জীবিকার কারণে কাজ করতে হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে সর্দি-কাশিতে ভুগতে হচ্ছে।

একই কথা বলছেন ভ্যান ও অটোচালকরাও। তারা জানান,  ঠান্ডার কারণে সহজে কেউ ভ্যানে বা অটোতে উঠতে চায় না। এ কারণে উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে তাদের। দিন মজুরদেরও একই কথা।

তেঁতুলিয়ার বুড়াবুড়ি এলাকার কালদাস পাড়া গ্রামের হারাদিঘী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা একই মনে হচ্ছে। দিন দিন ঠান্ডাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আজকে আরও ঠান্ডা বেশি মনে হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত পাঁচ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান ছিল। আজ আবার ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা চলে এসেছে। মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলমান রয়েছে ।

জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, হিমালয়কন্যা বিধৌত অঞ্চল  হওয়ায় এ জেলায় শীতের মাত্রা বেশি। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় প্রায় ৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও লক্ষাধিক মানুষের জন্যে শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।